উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে প্রায় ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছান এবং দুর্ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পর ক্যাম্পাস ত্যাগের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন এবং একপর্যায়ে উপদেষ্টাদের ঘিরে ফেলেন।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তিনজন কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। তবে দিয়াবাড়ি গোলচত্বরে পৌঁছানোর পর সেখানে অবস্থান নেওয়া বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন তারা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে উপদেষ্টাদের গাড়ি ঘুরিয়ে আবার কলেজ প্রাঙ্গণে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
দিয়াবাড়ি মোড়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে “ভুয়া ভুয়া” স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা একাধিকবার ধাওয়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপরও বিক্ষোভ থামেনি। রাজউক উত্তরা মডেল কলেজসহ আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেন। তাঁদের সঙ্গে এলাকাবাসীরও উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
বেলা পৌনে ১টার দিকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন,
“শিক্ষার্থীদের সব দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিচ্ছি, প্রতিটি দাবি পূরণ করা হবে। দয়া করে বিশ্বাস রাখুন।”
তবে উপদেষ্টার আশ্বাসেও শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। তারা নিরাপত্তা, জবাবদিহিতা ও ঘটনার পূর্ণ তদন্তসহ আরও কিছু দাবি নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
প্রায় নয় ঘণ্টা ধরে কলেজ প্রাঙ্গণে আটকে থাকার পর সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় মাইলস্টোন স্কুলের পেছনের গেট দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন উপদেষ্টারা। পেট্রল ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম লিটন জানান, তারা দিয়াবাড়ি বেড়িবাঁধ সড়ক হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: