রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে তিনি উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে যান।
হাসপাতাল পরিদর্শনের বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে ডা. শফিকুর রহমান লেখেন,
“উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্ঘটনাকবলিত ছাত্রছাত্রীদের দেখতে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে কেউ কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করেনি। বরং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথাযথ সম্মান ও সহযোগিতা করেছেন।”
তিনি আরও বলেন,
“মানুষের স্বাভাবিক আবেগের কারণে কিছুটা ভিড় ছিল, তবে সংশ্লিষ্টরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট ছিলেন। মহান রবের কাছে আহত সকলের আশু সুস্থতা কামনা করছি এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর কিছু প্রচারণা ছড়ালে তা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলেও স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন তিনি।
এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে জামায়াত আমির এক শোকবার্তায় বলেন,
“২১ জুলাই দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের উপর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরসহ বহু শিক্ষার্থী শাহাদাত বরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এখনো শতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন।”
তিনি বলেন,
“এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি অত্যন্ত শোকাহত। নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি, মহান আল্লাহ যেন তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করেন।”
জামায়াত আমির দলীয় নেতা-কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও আহতদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান—আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করতে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় পাইলটসহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুলশিক্ষার্থী, যাদের অনেকেই বর্তমানে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: