চাকরিতে পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
দুপুর ১টা ১০ মিনিটে শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে ওই এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিলেও আন্দোলনকারীরা তা ভেঙে সড়কে বসে পড়েন।
আন্দোলনকারীরা তাদের তিন দফা দাবি উপস্থাপন করেন, যা নিম্নরূপ:
২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডিসহ দেশের বিভিন্ন বিডিআর ইউনিটে বিশেষ আদালত বা সামারি কোর্টের মাধ্যমে যারা (বিশেষ করে ৭৬ ব্যাচ) চাকরিচ্যুত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সবাইকে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার অনুসন্ধানে গঠিত শর্তযুক্ত তদন্ত কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন কমিশনে রূপান্তরের দাবি জানানো হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান কমিশনের কার্যপরিধিতে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে—বিশেষ করে সরকারি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধির ২ (ঙ) ধারাটি তদন্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
তারা চায়, প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি মিথ্যা সাক্ষ্যে সাজাপ্রাপ্ত ও দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি নিরপরাধ সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।
আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, পিলখানা ঘটনার প্রেক্ষিতে ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করেছে। তাদের পুনর্বাসনের দাবি তোলেন তারা।
একইসঙ্গে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে খ্যাত ঐতিহাসিক বাহিনী ‘বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)’ নাম পুনঃস্থাপন করার আহ্বান জানান তারা।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনার পরই বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয় এবং বহু সদস্যকে চাকরিচ্যুত ও দণ্ডিত করা হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: