[email protected] শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সুধা সদন এখন অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৫ ১০:৫১ এএম

সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ বাসভবন 'সুধা সদন' বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত।

নজরদারির অভাবে ঐতিহাসিক এই বাড়িটি এখন মাদকসেবী ও কিশোর গ্যাংদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পরপরই ধানমন্ডি ৫/এ-তে অবস্থিত সুধা সদনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনার পর বাড়িটি আর সংস্কার বা নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়নি। বর্তমানে সেটি পড়ে রয়েছে অরক্ষিত অবস্থায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা এই ভবনের প্রতিটি তলায় জড়ো হচ্ছে ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী কিশোরদের দল। তাদের অনেককেই প্রকাশ্যে মাদকসেবন করতে দেখা যায়। এমনকি কিছু প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং নারীদেরও বাড়িটি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে, যা এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে আরও সন্দেহ ও উৎকণ্ঠার জন্ম দিচ্ছে।

বাড়িটির আশপাশের কয়েকজন কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পরপরই পরিত্যক্ত এই ভবনে শুরু হয় নানা ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ। রাতভর চলে মাদক সেবন, অপ্রীতিকর আড্ডা এবং সন্দেহজনক গতিবিধি। এমন পরিস্থিতিতে শুধু স্থানীয় বাসিন্দারাই নয়, পাশের রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ পথচারীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নিরঞ্জন জানান, “বাড়িটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর চুরির ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। তখন আমরা নিজেরাই কিছুদিন নজরদারি করি। কিন্তু এখন তো পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। এখানে কিশোর গ্যাং, মাদকসেবী, এমনকি নারীদের আনাগোনাও দেখা যাচ্ছে। আমাদের পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।”

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক বলেন, “বাড়িটি আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। কেউ যদি অপরাধে জড়িত থাকে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধী কেউই ছাড় পাবে না।”

তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশি তৎপরতা কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে তা দৃশ্যমান নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির অভাবেই সুধা সদন আজ অপরাধীদের অভয়ারণ্যে রূপ নিয়েছে। দ্রুত এই বাড়িটির সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর