রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় অবস্থিত পশুর হাটটি রাজধানীর বৃহত্তম কোরবানির হাট হিসেবে পরিচিত।
তবে ইজারা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে শুরুতে বিপাকে পড়েছিলেন গরু ব্যবসায়ীরা
প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।
বেপারীদের অভিযোগ ছিল, তারা আগেভাগে হাটে গরু নিয়ে এলেও সেখানে বিদ্যুৎ, পানি, শৌচাগারসহ কোনো ধরনের মৌলিক সুবিধা ছিল না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাগজপত্রের জটিলতায় নির্ধারিত সময়ের আগেই পশুর হাটের ইজারাদার ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি।
অবশেষে ২৯ মে 'এস এ ব্রাদার্স' ১১ কোটি ৫১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় হাটটির ইজারা লাভ করে। এরপরই হাটে বিদ্যুৎ সংযোগ, শৌচাগার, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, গাড়ি পার্কিং, স্বেচ্ছাসেবক ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম শুরু হয়।
২ জুন বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ গরু দিয়ে। কয়েকটি ভেরাও দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, কেনাবেচা এখনো কিছুটা কম হলেও ধীরে ধীরে গতি আসবে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী গহর বাদশা জানান, তিনি ১৫টি গরু এনেছেন, এর মধ্যে ২টি বিক্রি করেছেন।
নিলফামারী থেকে আসা তোতা মিয়া বলেন, “আমি ৬ দিন ধরে এখানে আছি। শুরুতে কিছু অসুবিধা ছিল, তবে এখন ইজারাদার সব কিছুই ঠিকঠাক করে দিয়েছে, এখন ভালোই আছি।”
সিংগাইর থেকে আসা ব্যবসায়ী নূর উদ্দিন জানান, “আমি ১৩টি বড় গরু এনেছি। তবে এবার বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলক কম।”
ক্রেতা কামারপাড়ার নাজিমউদ্দিন বলেন, “অনেকক্ষণ হাট ঘুরে দেখলাম, ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তবে দাম তুলনামূলকভাবে বেশি মনে হচ্ছে।”
হাটের ইজারাদার এস এ ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার এস কে খোকন বলেন, “ইজারা পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় সবকিছু অল্প সময়ে সম্পন্ন করেছি।
হাট পরিচালনার জন্য উত্তরা জোন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল তালুকদারকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের শতভাগ নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: