আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ, জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ফের শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা।
রবিবার (১১ মে) সকাল থেকে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করেন।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের ছায়ায় আন্দোলন করতে চান না, বরং জুলাইয়ের চেতনায় বিশ্বাস রেখে তারা রাজপথে আছেন। তাদের ভাষায়, “আমরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগ কিংবা তাদের দোসরদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই। নাটকীয় নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং আইনগতভাবে দলটিকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণা ছাড়া তারা রাজপথ ছাড়বেন না। একইসঙ্গে অবরোধ চলাকালীনই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
আন্দোলনকারীরা আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট পদক্ষেপ দাবি করেন। তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসা ও আজীবন স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
অবরোধের কারণে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। আহতদের পরিবার ও সহযোদ্ধারাও একাত্মতা প্রকাশ করে এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
শাহবাগ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার (৯ মে) আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ শেষে ছাত্র-জনতা শাহবাগে অবস্থান নেয়। শনিবারও শাহবাগে দিনব্যাপী সমাবেশ হয়, যেখানে এনসিপি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ইসলামি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: