অমর একুশে বইমেলায় এবার কয়েকটি পরিচিত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ পাচ্ছে না।
বাংলা একাডেমি জানায়, বইমেলার নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে স্টল বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম জানান, “আগে প্যাভিলিয়ন পেয়ে আসা কিছু প্রতিষ্ঠান এবার তা পাচ্ছে না। নিয়ম মেনে এবং প্রকাশকদের অংশগ্রহণে গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বইমেলার স্টল বরাদ্দের জন্য বাংলা একাডেমি একটি উপকমিটি গঠন করে, যেখানে প্রকাশক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিনিধি ছিলেন। কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কিছু প্রকাশনাকে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ না দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
যেসব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবার প্যাভিলিয়ন পাচ্ছে না বলে জানা গেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে— তাম্রলিপি, কাকলী প্রকাশনী, পাঠক সমাবেশ, পুঁথিনিলয়, সময়, মিজান পাবলিশার্স, চারুলিপি, জিনিয়াস পাবলিকেশন, নালন্দা, পার্ল পাবলিকেশন, বিশ্বসাহিত্য ভবন এবং শব্দশৈলী। এ ছাড়া, অন্যপ্রকাশ, আগামী প্রকাশনী এবং অনুপম প্রকাশনীর প্যাভিলিয়ন ছোট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ
কিছু প্রকাশকের বিরুদ্ধে আগের সরকারের আমলে বিশেষ সুবিধাভোগের অভিযোগ উঠেছে। বইমেলা আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু সংগঠন দাবি করেছে, এসব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে পক্ষপাতমূলক সুবিধা পেয়েছে। বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসান বলেন, “এটি সাধারণ প্রকাশকদের বিজয়। বাংলা একাডেমির প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ নিয়ে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা ভবিষ্যতে পুনর্বিবেচনা করা উচিত।”
ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া
প্যাভিলিয়ন না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ। তিনি বলেন, “বাংলা একাডেমির উচিত পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া, কেন আমাদের প্যাভিলিয়ন দেওয়া হচ্ছে না। কোনো প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে চিহ্নিত করা হলে তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকা প্রয়োজন।”
এবারের মেলায় স্টল বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকাশকরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা স্টল ভাড়া কমানোর দাবি জানানোর পাশাপাশি সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা আশা করছেন।াাা
এসআর
মন্তব্য করুন: