রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চলমান গ্যাস সংকট জনজীবনে তীব্র ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে।
দিনভর গ্যাসের অভাবে চুলা জ্বলছে না এবং মানুষ রান্না করতে পারছে না। ভোরে অথবা গভীর রাতে গ্যাস আসলেও তা খুব দ্রুত চলে যায় এবং সাধারণত এক ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয় না।
গ্যাসের সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অনেক বাসিন্দা ঘরে রান্নাবান্না বন্ধ করে দিয়েছেন। এ সময় তারা বাইরে থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন বা ইট বসিয়ে কাঠ পুড়িয়ে জরুরি রান্না করছেন। বেশ কিছু পরিবার সিলিন্ডার গ্যাস কিনে রান্না চালানোর চেষ্টা করছে, আবার কেউ কেউ অবৈধ ইলেকট্রিক হিটার ও তেলের চুলায় রান্না করছেন।
রাজধানীর পুরান ঢাকা এলাকার বি কে গাঙ্গুলী লেন, গণকটুলী, নাজিরা বাজারসহ অনেক জায়গায় এই সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে অল্প গ্যাস আসলেও তা মাত্র এক দেড় ঘণ্টার জন্য স্থায়ী হয়। গ্যাস না থাকলেও সময়মতো বিল পরিশোধ করতে হয় এবং অনেক পরিবারকে বাইরে থেকে খাবার কিনতে হচ্ছে, যার ফলে শিশুদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে।
এদিকে, রান্নার কাজে সমস্যা তৈরি হওয়ায় রেস্টুরেন্টগুলোতে চাপ বেড়েছে, তবে তাদেরও পরিস্থিতি খুব সহজ হচ্ছে না।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ জানান, গ্যাসের সরবরাহ শিল্প, বিদ্যুৎ, সার, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনগুলোতে সমানভাবে বিতরণ করা হয়, যার কারণে সরবরাহে সাময়িক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, তিতাস গ্যাসের একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ৭২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল, যার প্রভাব গ্যাস সরবরাহে পড়েছে। শীতকালে গ্যাসের চাপ কিছুটা কমে যাওয়াও এই সংকটের একটি কারণ।
এসআর
মন্তব্য করুন: