রাজধানীর সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজসহ পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রোববার সংঘবদ্ধভাবে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
দুপুরের পর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা এ হামলায় অংশ নেয়। শুধু শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ১৭টি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
হামলাকারীরা কম্পিউটার, অফিস সামগ্রী লুট করে এবং কলেজের গাড়ি ও মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে।
এসময় ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের প্রথম বর্ষের পরীক্ষাও চলছিল। হামলাকারীরা পরীক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।
সন্ধ্যায় কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালায়। কলেজটির প্রথম থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙচুর করে তারা। শিক্ষক ও স্টাফরা জানান, শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক কক্ষসহ অন্তত ৫০টি কক্ষ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ক্যান্টিন লুট করা হয়, দ্বিতীয় তলায় একটি শিক্ষক কক্ষে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
কলেজের শিক্ষক রিচার্ড গোমেজ বলেন, "আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ছিল। অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা ভেবে নিয়েছে, তাদের ওপর আক্রমণে আমাদের শিক্ষার্থীরাও জড়িত।"
কলেজের ফাদার প্লাসিড পিটার রিবেরু বলেন, "দুপুরে ছুটি হওয়ার পর আমরা সবাই চলে যাই। পরে খবর পেয়ে এসে দেখি এই অবস্থা।
সূত্রাপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, "পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় মামলা হবে।
হামলাকারীরা পুলিশের ওপরও আক্রমণ চালায়, একজন পুলিশ আহত এবং একটি অস্ত্রের ম্যাগাজিন খোয়া গেছে।"
লালবাগ জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন জানান, "বিক্ষোভ থামাতে প্রশাসন কাজ করছে। আজকের বৈঠকে সমাধান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়।"
ঘটনার সূত্রপাত হয় ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদারের মৃত্যু নিয়ে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে।
রোববার দুপুরে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে।
তারা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালায়। পরে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও এ ঘটনায় জড়িত হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া
এসআর
মন্তব্য করুন: