ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) নবগঠিত কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সদস্যরা।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবিতে বক্তব্য দেন আইইবির বেশ কিছু সদস্য, যারা দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৬ বছর ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনীতিকরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আইইবি, যা একটি অরাজনৈতিক পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, তাও এর ব্যতিক্রম নয়।
সদস্যরা অভিযোগ করেন, দলীয় সংস্থাগুলোর দুর্নীতি, তদবির, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির মাধ্যমে আইইবিকে একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়:
১. আইইবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট ইইওজিএম ডাকতে পারেন। কিন্তু কোনো নোটিশ ছাড়াই কালবেলা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সভা আহ্বান করা হয়।
২. সভার জন্য ২১ দিন আগে নোটিশ দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও, তা অনুসরণ করা হয়নি। বরং, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক দিন পর সভা অনুষ্ঠিত হয়, যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ।
৩. ইইওজিএম সভায় একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা থাকার কথা থাকলেও এজেন্ডার কোনো উল্লেখ ছিল না, যা বিধিবহির্ভূত। এমনকি ব্যানারে আইইবির লোগোও ছিল না।
৪. ইইওজিএম-এ ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা থাকলেও, কোনো ভোট ছাড়াই মনগড়া কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা ফ্যাসিবাদী শাসনের নমুনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
৫. সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটির অনুমোদন ছাড়াই আইইবির প্রধান ও কেন্দ্র কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, যা আইইবির বিধিমালার পরিপন্থী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, "বিগত ১৬ বছরের অভিজ্ঞতায় সাধারণ প্রকৌশলীরা আইইবিকে একটি অরাজনৈতিক পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চান, যেখানে দলীয় তদবির, চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজি থাকবে না। প্রয়োজনে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব।"
সদস্যরা অনুরোধ জানিয়েছেন যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন অবৈধ কমিটিকে বাতিল করে আইইবিকে একটি পেশাজীবী সংস্থা হিসেবে পুনর্গঠন করে এবং গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে সচেতন ভূমিকা পালন করতে অনুরোধ করেছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: