ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নববধূকে দেখতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে লুট হয়েছে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যার দিকে দাদপুর ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পরে আহতরা চিকিৎসা শেষে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী মো. ফিরোজ মোল্যা (২৬) এজাহারে উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী ওহিদ মোল্যার (১নং আসামি) নতুন বউ দেখতে তার মা ফিরোজা বেগম ও ভাবি শামীমা খাতুন ওই বাড়িতে গেলে আসামিরা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের হেনস্তা করে ঘরের ভেতর আটকে রাখে এবং অপমান করে বের করে দেয়। ঘটনা জানার পর ফিরোজ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করলে আসামিরা তাকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ ও হামলা চালায়।
এজাহারে বলা হয়, ১নং আসামির হাতে থাকা লোহার শাবলের আঘাতে ফিরোজের ডান পায়ের গোড়ালি মারাত্মকভাবে জখম হয়। ২নং আসামি তার চোখে আঙুল ঢুকিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে এবং এসময় তার পকেট থেকে ১০ হাজার ২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ৩নং আসামি লোহার হাতুড়ি দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং তার মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায়।
চিৎকার শুনে ফিরোজের চাচাতো ভাই আবুল বাশার এগিয়ে গেলে ১নং আসামি রামদা দিয়ে মাথায় কোপ মারেন, এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে ৪, ৫, ৬ ও ৭নং আসামিরা ফিরোজের মা ও ভাবিকে লোহার রড, পাইপ ও কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এসময় নারীদের গলা থেকে দুটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয়, যার মূল্য দুই লাখ টাকার বেশি।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনাস্থলে থাকা সাক্ষীরাও হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিবারের সঙ্গে আলোচনার কারণে বিলম্বে অভিযোগ দায়েরের কথা জানান ফিরোজ।
পুলিশ জানায়, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: