[email protected] শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১০ লাখ টাকা ব্লাকমেইল করতেই ব্যবসায়ীকে খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ২:১৫ পিএম

সংগৃহীত ছবি

রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছিলেন তার বন্ধু জরেজুল ইসলাম ও তার প্রেমিকা শামীমা আক্তার ওরফে কোহিনুর।

শনিবার কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন এ তথ্য জানান।

র‌্যাব জানায়, প্রায় এক মাস আগে শামীমা আশরাফুলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করে তাকে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। অডিও ও ভিডিও কলে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তাকে ঢাকায় আসতে প্রলুব্ধ করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১১ নভেম্বর রাতে আশরাফুল বন্ধু জরেজুলের সঙ্গে রংপুর থেকে ঢাকায় আসেন। পরদিন তিনজন শনির আখড়ার নূরপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন।

এর আগেই জরেজ শামীমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন—আশরাফুলের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে তা দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা আদায় করতে হবে। সেই অনুযায়ী শামীমা মালটার শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে আশরাফুলকে অচেতন করেন। পরে জরেজ বাইরে থেকে তাদের অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করেন।

পুরোপুরি অচেতন হওয়ার পর জরেজ আশরাফুলের হাত বেঁধে মুখ স্কচটেপে আটকে দেন। অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনের পর উত্তেজিত অবস্থায় তিনি হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই আশরাফুলের মৃত্যু হয়।

লাশ গুমে পরদিন জরেজ বাজার থেকে চাপাতি ও দুটি নীল ড্রাম কেনেন। লাশ ২৬ টুকরো করে ড্রামে ভরে সিএনজিতে করে হাইকোর্ট এলাকায় নিয়ে গিয়ে তৎপরতা দেখে ড্রাম দুটি রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যান।

শামীমার দেওয়া তথ্যে হত্যায় ব্যবহৃত দড়ি, স্কচটেপ, রক্তমাখা পোশাকসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মূল আসামি জরেজুল ইসলামকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। র‌্যাব বলছে, ব্লাকমেইল করে টাকা হাতানোই ছিল তাদের উদ্দেশ্য; তবে অন্য কোনো শত্রুতা জড়িত আছে কি না, তা তদন্তে জানা যাবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর