[email protected] বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
২৭ কার্তিক ১৪৩২

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: দুই শুটার গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৫ ৯:২৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন হত্যায় জড়িত দুই পেশাদার শুটারকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন রুবেল ও ইব্রাহিম।

ডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে পুরান ঢাকার সূত্রাপুর এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে মামুনকে হত্যা করা হয়। আদালতে হাজিরা শেষে আফতাবনগরের বাসায় ফেরার পথে তার ওপর হামলা চালানো হয়। স্বজনদের দাবি, মামুন আগেও একাধিকবার হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন।

পুলিশের তথ্যমতে, নিহত তারিক সাইফ মামুন ছিলেন তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং ‘ইমন-মামুন গ্রুপ’-এর অন্যতম প্রধান। একসময় তিনি অপরাধ জগতের আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। অপরাধ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মল্লিক আহসান সামী বলেন,

“নিহত মামুন হচ্ছেন ইমন-মামুন গ্রুপের অন্যতম নেতা। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন।”

সিসিটিভি ফুটেজে ভয়াবহ দৃশ্য

প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে মামুন আদালত থেকে বের হয়ে ন্যাশনাল হাসপাতালের গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ পরা দুই যুবক তার ওপর গুলি চালায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তারা খুব কাছ থেকে একাধিক গুলি ছুড়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

গুলির শব্দে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে দৌড়ে আশপাশের ভবনে আশ্রয় নেন। হামলার পর মামুনকে দ্রুত ন্যাশনাল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, দুপুর ১২টার পর মামুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দিনদুপুরে এভাবে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, নিহত ব্যক্তি অপরাধী হলেও এ ধরনের নৃশংস ঘটনা নগর নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর