[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
১৩ ভাদ্র ১৪৩২

মুন্সীগঞ্জে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাতদের হামলা, ব্যাপক গুলিবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ আগষ্ট ২০২৫ ১:৫৭ এএম

সংগৃহীত ছবি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য স্থাপিত পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় নৌ-ডাকাত নয়ন–পিয়াস গ্রুপ।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়। তবে পুলিশ সদস্যদের কেউ আহত হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৫টার পর ৫–৬টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে নদীপথে মহড়া শুরু করে নয়ন–পিয়াস বাহিনী। ক্যাম্পের কাছে এসে তারা প্রথমে ৪–৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

এরপর ট্রলার থেকে ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ডাকাতরা অন্তত ১০০ রাউন্ড এবং পুলিশ ২০–২৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গোলাগুলি চলার পর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ট্রলারযোগে মতলবের দিকে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।

গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, স্থানীয় ডাকাত পিয়াসের নেতৃত্বে ৩০–৩৫ জনের একটি দল ক্যাম্প লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পজিশন নিয়ে পাল্টা গুলি চালায়। কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি। তবে ডাকাতদের কেউ আহত হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, নৌ-ডাকাতরা মূলত চাঁদা তোলার উদ্দেশ্যে নদীতে নামলেও পুলিশি উপস্থিতির কারণে তা ব্যর্থ হয়।

তাদের হামলার জবাবে পুলিশ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন করতে আরও কঠোর অবস্থানে যাবে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে কয়েকটি নৌ-ডাকাত গ্রুপ।

চাঁদাবাজি, অবৈধ বালু উত্তোলন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি নয়ন–পিয়াস বাহিনী ও লালু বাহিনীর বিরোধে একাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে।

এসব অপরাধ দমনে গত ২২ আগস্ট জামালপুর গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়, যার বিরোধিতা শুরু থেকেই করে আসছিল ডাকাত গ্রুপগুলো। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর