গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা।
ঘটনার একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, এক যুবক প্রকাশ্যে এক তরুণীকে মারধর করছেন। এসময় ৬-৭ জন যুবক চাপাতি, রামদা ও ছুরি নিয়ে ওই যুবকের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। যুবকটি দৌড়ে পালালে অস্ত্রধারীরা তাকে ধাওয়া করে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক তুহিন। তা দেখে হামলাকারীরা তাকেও ধাওয়া করে। তিনি প্রাণ বাঁচাতে ঈদগাহ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন।
কিন্তু দুর্বৃত্তরা দোকানে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে, ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী এক চা দোকানি জানান, তুহিন দোকানে ঢোকার পরপরই কয়েকজন অস্ত্রধারী এসে হামলা চালায়। থামানোর চেষ্টা করলে তারা গালাগালি করে হত্যার হুমকি দেয়, ফলে তিনি আতঙ্কে লুকিয়ে পড়েন।
নিহত তুহিন (৩২) ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ করতেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ক্রাইম-উত্তর) মো. রবিউল হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে—অন্য একজনকে মারধরের ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার সম্পূর্ণ চিত্র প্রকাশ পাবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: