১ মাস পেরিয়ে গেলেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত পারভেজের পরিবারের খবর নেয়নি কেউ।
জানা গেছে, নিহত পারভেজ বেপারী (২৩) গত ১৯ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি হন। ঐদিন বিকেলেই তার মৃত্যু হয়। সে ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতো।
নিহত পারভেজের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার বার হাতিয়া গ্রামে।
নিহত পারভেজের বাবা সবুজ বেপারী প্রতিদিনের বাংলাকে বলেন , আমার পরিবারের একমাত্র অবলম্বন ছিলো, আমার পারভেজ। প্রায় ৫ বছর যাবত অসুস্থ অবস্থায় আমি দিনাতিপাত করছি। ও (পারভেজ) আমাদের পরিবারের ভরনপোষণের দায়িত্ব পালন করতো। আমার দুটি মেয়ে লেখাপড়া করে। তাকে হারিয়ে আমাদের বাঁচার পথ রুদ্ধ হয়ে গেলো। আমাদের কেউ কোন সহায়তা করেননি। আমরা আমার সন্তানের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
এদিকে পারভেজের মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বার হাতিয়া গ্রামের প্রতিবেশী নাজির ও মারুফ প্রতিদিনের বাংলাকে বলেন, পারভেজ খুবই ভালো মানুষ ছিল। তারা কোন ধরনের রাজনীতি করতো না। তাদের পরিবার কষ্টে দিনযাপন করছে।
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় হয়েছেন তার মা। তার মা বলেন, আমার ছেলে কাজে যাওয়ার পথে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।
পারভেজের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ১০ নং পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমল বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৯জুলাই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: