নাসিরনগরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি: নারীসহ আহত ৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনায় নারীসহ ৯ জন আহত হয়েছেন।

শুধু তাই নয়, ডাকাতরা মরদেহের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার জেরে এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া এলাকায় এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।

স্বজনদের ভাষ্যমতে, ক্যান্সারে আক্রান্ত মুকবুলপুর গ্রামের বাসিন্দা ছবদর আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার আহসানিয়া হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ বাড়িতে নেওয়ার পথে ডাকাত দল সড়কে গাছ ফেলে গাড়ির গতিরোধ করে। গাড়ির ভাঙচুরের পাশাপাশি স্বজনদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন এবং প্রায় ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয় তারা।

নিহতের ছেলে মো. আলমগীর মিয়া বলেন, “টাকা-পয়সা লুট হলেও যেটা সবচেয়ে হৃদয়বিদারক, তা হলো—আমার মৃত বাবার মরদেহেও হামলা চালানো হয়েছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

আহতদের মধ্যে রয়েছেন: চালক ফিরুজ মিয়া, মালিক খলিল মিয়া, নিহতের স্বজন রাসেল মিয়া, ছালেক মিয়া, নাহিদ মিয়া, আলমগীর মিয়া, সালাউদ্দিন, আলেয়া বেগম এবং আলী নেওয়াজ মিয়া।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তিলপাড়া এলাকার সড়কটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে ভোর ও সন্ধ্যায় ডাকাতির ঘটনা প্রায় নিয়মিত।

এ বিষয়ে স্থানীয় আইনজীবী মো. রেজাউল হক আমজাদ বলেন, “এটি শুধু ডাকাতির ঘটনা নয়, এটি মর্যাদাহানিকর একটি হামলা, যেখানে একজন মৃত ব্যক্তির মর্যাদাকেও অবজ্ঞা করা হয়েছে।”

নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম বলেন, “ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ অঞ্চলে অতীতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি এবং প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা নাসরিন বলেন, “লাশবাহী গাড়িতে ডাকাতির মতো ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।