বরগুনার তালতলীতে এক মাদরাসার ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক ফোরকান হোসাইনকে জুতোপেটার করা হয়েছে।
এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে শিক্ষককে জুতাপেটার ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে মাদরাসার ছাত্রকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ১ মাস আগে। বর্তমানে বিষয়টি জানাজানি হলে এই জুতা পেটা করেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রা এলাকার খানকায়ে রশিদিয়া নুরানি মাদ্রাসার সাবেক পরিচালক হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ ফোরকান হোসাইন একই মাদরাসার ১০ বছরের ছাত্রকে গত ১৫ নভেম্বর ধর্ষণ করেন। এতে ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিভাবকরা গোপনে চিকিৎসা করার।
এই ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষক ফোরকান। তবে স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ফের ধামাচাপা দিতে ওই মাদরাসা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিরাজ হাওলাদার মাদরাসার মধ্যে বিচার করে জুতোপেটা করেন।
এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিন থেকে চার জন লোক ওই শিক্ষককে জুতাপেটা করতেছে ও শিক্ষক ডাক-চিৎকার করছেন। এতে নিন্দার ঝড় ওঠে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত থাকায় তার একাধিক স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়।
স্থানীয়রা আরও বলেন, এই জুতোপেটায় তার সঠিক বিচার হয়নি।
তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাহলে এমন খারাপ কাজ তিনি আর করবেন না। তারা আরও বলেন, এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় একাধিকবার আর্থিক জরিমানা দিয়েছেন ও চাকরি গেছে।
এ বিষয়ে মাদরাসা সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিরাজ হাওলাদার বলেন, এই মাদরাসাটি বাঁচাতে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে। মাদরাসার পরিচালক পদ থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়েছে।
তালতলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ শাহজালাল বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: