রংপুরের মিঠাপুকুরে অবস্থিত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের
জন্মভিটায় নির্মিত রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে অবহেলা ও অযত্নে পড়ে আছে।
ভবন আছে, কিছু জনবল আছে—কিন্তু কার্যক্রম নেই, কক্ষগুলো তালাবদ্ধ, কাঠামো নষ্ট, ঘর-বাড়িতে শ্যাওলা জমে গেছে।
বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের অভিযোগ
প্রতিশ্রুতি দিলেও কখনো কাজের বাস্তবায়ন হয়নি—সবই ফাইলবন্দি।
স্মৃতিকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম চালুর কথা ছিল তা কখনো পূরণ হয়নি।
রোকেয়ার জন্মভিটা এখনো অবহেলায়, আঁতুর ঘর সংস্কার করা হয়নি, বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধার হয়নি।
দর্শনার্থীরা বলেন—স্থানে গেলে ভুতুরে পরিবেশ লাগে, দর্শনার্থীবান্ধব পরিবেশ নেই।
বহু আগে করা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রোকেয়ার দেহাবশেষ কলকাতা থেকে আনার উদ্যোগও হয়নি।
‘বেগম’ শব্দ নিয়ে আপত্তি
স্থানীয় গবেষক, সংগঠক ও সচেতন নাগরিকদের দাবি—
রোকেয়া কখনোই নিজের নামের আগে ‘বেগম’ লেখেননি।
তিনি ‘বেগম প্রথা’র বিরোধী ছিলেন।
তারপরও রাষ্ট্রীয়ভাবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া পদক—ইত্যাদিতে শব্দটি যোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে অনুরাগীদের মধ্যে।
ইতিহাস সংক্ষেপ
জন্ম : ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০, মিঠাপুকুর, রংপুর
মৃত্যু : ৯ ডিসেম্বর ১৯৩২, কলকাতা
বাংলার মুসলিম নারীশিক্ষা ও নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ।
উন্নয়নের অগ্রগতি / নতুন পদক্ষেপ
রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে
সংশ্লিষ্টদের আশা—এর ফলে স্মৃতিকেন্দ্রে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।
বাংলা একাডেমি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা
৯ ডিসেম্বর সমঝোতা সই হবে—
রোকেয়ার জীবন, কর্ম ও গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলবে।
নতুন কার্যক্রম শুরু
বাংলা একাডেমির সহপরিচালকের তথ্য—
শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রশিক্ষণ
সংগীত প্রশিক্ষণ
নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ
রোকেয়া-সম্পর্কিত বই দিয়ে লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
দর্শনার্থীদের আগমনও বাড়ছে।
রোকেয়া দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি
বাংলা একাডেমি :
জন্মভিটায় শ্রদ্ধা নিবেদন
আলোচনা সভা
চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় :
র্যালি
আলোচনা সভা
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল
এসআর
মন্তব্য করুন: