[email protected] বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
২ পৌষ ১৪৩২

১১ ডিগ্রিতে নামল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা, রয়েছে শৈত্যপ্রবাহেরও সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:১৭ এএম

দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় গত

কয়েক দিন ধরে শীতের প্রভাব দ্রুত বাড়ছে। হিমেল বাতাস, কুয়াশা আর তীব্র ঠান্ডায় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে দিনমজুর ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাজের সন্ধানে বের হলেও ঠান্ডার ভোগান্তি বেশি সহ্য করতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস—যা চলতি শীত মৌসুমে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের কয়েক দিনের মধ্যেই জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। তবে শীত বাড়লেও দিনমজুরদের কাজ বন্ধ নেই। ভোরের ঠান্ডা উপেক্ষা করে শ্রমিকরা রোজগারের প্রয়োজনে মাঠে ও কর্মস্থলে ছুটছেন।

এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস জানান, ডায়রিয়া ও শিশুদের রোগী সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর-ঠান্ডা এবং ডায়রিয়ার রোগী বেশি আসছেন। তুলনামূলকভাবে বয়স্ক রোগীর চাপ কম হলেও প্রতিদিন আউটডোরে ২০০ থেকে ৩০০ শিশু ও প্রবীণ চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান বলেন, তাপমাত্রা আরও কিছুদিন কমতে পারে এবং শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর