মৌসুমের শেষভাগে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

নভেম্বরের শুরুতে পর্যটক সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকলেও মাসের

শেষ প্রান্তে এসে আবারও জমে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ছুটির দিনে কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে দেশজুড়ে আসা ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে সৈকতের বালুকাবেলা। গরম পুরোপুরি না কমলেও হালকা ঠান্ডা আবহাওয়া ভ্রমণকে আরও মনোরম করে তুলেছে।

দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে ঘুরতে আসা আফতাব উল্লাহ জানান, তাদের এলাকায় শীত নেমে গেছে। তাই পরিবার নিয়ে কক্সবাজার আসাকে তারা উপযুক্ত সময় মনে করেছেন। তার ভাষায়, “এখানে ঠান্ডা আছে, কিন্তু আবহাওয়া ভ্রমণের জন্য বেশ ভালো।”

গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে আসা আনাস বিন রহমান সৈকতের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে আরও ভালো ব্যবস্থা চান। তিনি বলেন, সৈকতে ঘুরতে এসে ফটোগ্রাফার বা খাবার বিক্রেতাদের কারণে মাঝে মাঝে বিরক্তির সৃষ্টি হয়, তাই সবার সুবিধা নিশ্চিত করতে একটি সুচিন্তিত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

পর্যটক বাড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আশাবাদ দেখা গেছে। যদিও আগের মতো ভিড় নেই, তবুও রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে মৌসুমের শেষ ভাগে ভালো ব্যবসা হবে বলে তারা মনে করেন।

হোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, কয়েক বছর আগেও এ সময় ৯০–৯৫% রুম বুকড থাকত, এখন সে চিত্র বদলেছে। তবুও মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পর্যটক বাড়ার প্রবণতা তাদের সতর্ক আশাবাদী করছে।

এদিকে সামনের জাতীয় নির্বাচন ও রমজান মাসের কারণে পর্যটক কম হতে পারে বলে ধারণা করছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম। তার মতে, পরিস্থিতি শান্ত থাকলে পর্যটন ব্যবসা ধীরে ধীরে গতিশীল হবে।

সৈকত এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতাও ছিল নজরকাড়া। কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণই তাদের প্রধান দায়িত্ব, পাশাপাশি পর্যটন স্পটগুলোতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতেও তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।

এ ছাড়া ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার—সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু হবে বলে জানায় সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাতযাপনের সুযোগ থাকবে। অনুমোদিত সাতটি জাহাজের অগ্রিম টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে।