রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে হঠাৎ লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে
পুরো এলাকা আতঙ্কে ভরপুর হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ২২ মিনিটের দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর মুহূর্তেই তা বস্তির টিনের ঘরগুলোকে ঘিরে ধরে। আগুনের তীব্রতা বাড়তে শুরু করলে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পানির সংকট তাদের কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।
প্রাথমিকভাবে কয়েকটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও ইউনিট যোগ করা হয়। পরে মোট ১৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, পানি সরবরাহে জটিলতার কারণে ইউনিট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটি ইউনিট সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়। অনেকে তড়িঘড়ি করে ঘর থেকে যা সম্ভব তা সরিয়ে নিতে চেষ্টা করেন। দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ছোট ছোট পথ দিয়ে লোকজনের চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়ে, ফলে এলাকা দ্রুত বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিড় নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুন নেভানোর কাজে বিঘ্ন না ঘটাতে পুলিশ সাধারণ মানুষকে দুর্ঘটনাস্থলের ভেতর প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এছাড়া যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আগুন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা একের পর এক ঘর গ্রাস করতে থাকে। অনেক ঘরে থাকা এলপিজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আশঙ্কায় ভয়ের মাত্রা আরও বাড়ে। অনেকে ইতোমধ্যে আগুনের সম্ভাব্য দিক থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফায়ার সার্ভিস এখনো আগুন লাগার সঠিক কারণ জানাতে পারেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। তবে ঘনবসতিপূর্ণ এই বস্তিতে আগুন লাগায় বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: