সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, জনগণের আস্থা ছাড়া কোনো নির্বাচনই গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারে না।
তাই মুক্ত আলোচনা, স্বচ্ছতা ও সততার ভিত্তিতে আস্থা পুনরুদ্ধার করা জরুরি। নাগরিকদের মনে যে শঙ্কা ও ভীতি এখনো বজায় আছে, তা দূর না হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) খুলনার হোটেল সিটি ইন–এ নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ আয়োজিত প্রাক-নির্বাচনী আঞ্চলিক কর্মশালাে এসব কথা বলেন তিনি। কর্মশালায় বিভিন্ন পেশার প্রায় দুই শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, “দেশ নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে, নির্বাচন অনিবার্য। কিন্তু আমরা কেমন নির্বাচন পাব—সেই অনিশ্চয়তা এখনও জনমনে রয়ে গেছে।”
অর্থনীতি ও আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের শ্রমিকদের শ্রমবাজারে টানতে অঞ্চলভিত্তিক শিল্পায়ন অপরিহার্য। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভাবনা দীর্ঘদিন আলোচিত হলেও বাস্তব অগ্রগতি তেমন দৃশ্যমান নয়। পদ্মা সেতু চালুর পরও প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক বেগ পাওয়া যায়নি। জমির দাম বাড়লেও কর্মসংস্থান বা শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি তেমন বাড়েনি।
তিনি উল্লেখ করেন, খুলনা অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প, চিংড়ি–মাছ উৎপাদন এবং পর্যটন খাতে বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। সুন্দরবন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের পর্যটনশিল্প গড়ে তোলা সম্ভব।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংস্কার লাগবে, বিনিয়োগ লাগবে—কিন্তু তা হতে হবে যোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও উন্মুক্ত আলোচনার ভিত্তিতে। সঠিক সংস্কার বেঠিক প্রক্রিয়ায় হলে লাভ পাওয়া যায় না।”
বন্দর উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাড়াহুড়ো ও অস্বচ্ছতার কারণে ভালো উদ্যোগও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কর্মশালার সমাপনী বক্তৃতা করেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—
এসআর
মন্তব্য করুন: