ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী
অংশে সড়ক বিভাজকের ওপর লাগানো অন্তত ৫০টির বেশি বকুলগাছ নিধনের ঘটনায় আজমিরি হোসেন নামের একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সাওড়াতলী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সকালেই এ ঘটনায় আজমিরিকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করে।
সওজের কর্মকর্তারা জানান, বেলতলী এলাকায় মহাসড়কের মাঝের বিভাজকে লাগানো বহু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই বকুল, পাশাপাশি বেলিফুল, তাল ও অন্য প্রজাতির গাছও রয়েছে। কোনো গাছ গোড়া থেকে কাটা, আবার কিছু গাছ মাঝখান থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। এমনকি কিছু গাছ কেটে পুড়িয়ে ফেলার প্রক্রিয়াও চলছিল। মোটামুটি ৫০০ মিটারের এলাকাজুড়ে প্রায় ৫২টি বকুলগাছ সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা যায়, আজমিরি হোসেন মহাসড়কের ধারে একটি টিনের ঘরে থাকতেন এবং আশপাশে সবজি আবাদ করার উদ্দেশ্যে গাছগুলো কাটেন।
ঘটনার খবর পেয়ে সওজের কার্যসহকারী রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, নির্মাণাধীন মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের অংশে অন্তত ১৭টি গাছ কাটা দেখতে পান, আর আশপাশে আরও গাছ নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সওজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৬ সালে মহাসড়কটি চার লেনে সম্প্রসারণের পর সৌন্দর্যবর্ধন ও যানবাহনের হেডলাইটের আলো বিপরীত লেনের গাড়িতে না পড়ার উদ্দেশ্যে বিভাজকের ওপর বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ছায়াগাছ রোপণ করা হয়। দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত ১৯২ কিলোমিটার মহাসড়কের প্রায় ১৪৩ কিলোমিটার জুড়ে বকুল, করবী, রাধাচূড়া, সোনালু, টগরসহ নানা ফুলের গাছ মিলিয়ে ৫০ হাজারের মতো গাছ লাগানো হয়। পাশাপাশি জলপাই, মেহগনি, আকাশমণি, কাঁঠাল, একাশিয়া, হরীতকীসহ আরও ৪০ হাজারের বেশি গাছ সড়কের দুই পাশে ও বিভাজকে রোপিত হয়েছে।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানান, বেলতলীর গাছ কাটার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
ওসি সেলিম বলেন, মামলা রেকর্ড করার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে রোববার আদালতে পাঠানো হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: