হালকা কুয়াশা, শিশিরভেজা ঘাস আর মৃদু হিমেল হাওয়ায় চারপাশে
ছড়িয়ে পড়েছে শীতের আগমনী আমেজ। হেমন্তের সোনালি আভা পেরিয়ে প্রকৃতি এখন শীতকে বরণ করার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।
শীতের এই সূচনা ঘিরে এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছে গরম কাপড়ের বাজার। নতুন পোশাকের দোকানের চেয়ে পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতেই ক্রেতার ভিড় বেশি দেখা যাচ্ছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) মাগুরার শালিখার আড়পাড়া ও শ্রীপুর উপজেলার ওয়াপদা এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়—সোয়েটার, জ্যাকেট, চাদর, মাফলার, টুপি ও হাতমোজার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
সুলভ দামে পোশাক বিক্রির কারণে এসব দোকানে আসছেন স্বল্প ও মধ্য আয়ের ক্রেতারা। তবে বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েরই অভিমত—গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে মাফলার ১৫০ টাকা, জ্যাকেট ও সোয়েটার ৩০০ টাকা, চাদর ৩০০ টাকা এবং হাতমোজা ২০–৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বড়পাড়া নিক্সন মার্কেটের বিক্রেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, “আমরা মাগুরা, যশোর ও ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জায়গায় কাপড় সরবরাহ করি। এ বছর শীত আগেভাগে আসায় ক্রেতার সংখ্যা বেশি, তাই দামও কিছুটা বেড়েছে।”
শীতবস্ত্র কিনতে আসা ক্রেতা জসীম উদ্দিন বলেন, “গত বছর মাফলার নিয়েছিলাম, এবার জ্যাকেট কিনতে এসেছি। তবে আগের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি।”
অন্য এক ক্রেতা ফিরোজ হোসেন জানান, “নতুন দোকানের তুলনায় পুরোনো কাপড়ের বাজারে ভালো মানের জিনিস কম দামে পাওয়া যায়। তাই প্রতিবছর এখানেই আসি।”
ইজিবাইকচালক রহিম শেখ বলেন, “রাতে গাড়ি চালাতে খুব ঠান্ডা লাগে। তাই এখানে এসে অল্প দামে সোয়েটার ও চাদর কিনেছি। আমাদের মতো অনেকেই এখান থেকে কাপড় নিচ্ছে।”
প্রতিসপ্তাহে বুধবার ও শনিবার দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে আড়পাড়ার পুরোনো কাপড়ের বাজার। এখানে ব্যবহৃত কাপড়ের পাশাপাশি নতুন পোশাকও পাওয়া যায়। আশপাশের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকেও মানুষ আসেন কেনাকাটা করতে।
স্থানীয়দের মতে, প্রশাসনের সহায়তায় যদি এসব বাজারকে আরও সুশৃঙ্খলভাবে বড় পরিসরে সাজানো যায়, তবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা সহজেই স্বল্প মূল্যে মানসম্মত শীতবস্ত্র কেনার সুযোগ পাবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: