[email protected] শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
২৪ কার্তিক ১৪৩২

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বোয়ালমারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০২৫ ২:২৩ এএম

সংগৃহীত ছবি

৭ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় ২০টির বেশি মোটরসাইকেলে এবং একটি শপিং কমপ্লেক্সেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দুটি ভাগে বিভক্ত—একটি কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থক, অন্যটি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর অনুসারী। গত অক্টোবরের শেষ দিকে নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে।

শুক্রবার বিকেলে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে দুটি পক্ষ পৃথক কর্মসূচি পালন করতে গেলে কেন্দ্রস্থলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু হয়, পরে দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়ায়। একপর্যায়ে কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সের সামনে মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

আহতদের মধ্যে তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, বাকি আটজন বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

দোষারোপের বিষয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্যে ভিন্নতা রয়েছে।
শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু বলেন, “নাসিরুল ইসলামের সমর্থকরা বহিরাগত লোক এনে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালায়, পার্টি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।”

অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “ঝুনু মিয়ার অনুসারীরাই আগে হামলা চালায় ও মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। আমরা বিষয়টি দলের কেন্দ্রে জানাব।”

বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, “পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর