কলেজ শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাভার।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের সিএনবি এলাকায় স্থানীয় জনতা, শিক্ষার্থী ও নিহতের পরিবার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, ফজলে রাব্বিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়।
ঘটনার ১৪ দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার হলেও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
নিহতের মা নূরজাহান বেগম বলেন, “আমার ছেলে ১৭ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। ৩০ অক্টোবর কলমা উত্তরপাড়ার জঙ্গলে তার বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।”
স্থানীয় সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন বলেন, “ফজলে রাব্বি একজন মেধাবী ও ভদ্র শিক্ষার্থী ছিল।
তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
সাভার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল মুমিন আকন বলেন, “ফজলে রাব্বি লিজেন্ড কলেজের ছাত্র ছিল। তাকে অটোচালক আখ্যা দিয়ে হত্যার গুরুত্ব হালকা করার চেষ্টা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অপপ্রচার।”
সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, “ফজলে রাব্বি সমাজের শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। তাকে হত্যা করে বস্তাবন্দি অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়েছে— এটি একটি নির্মম ও পরিকল্পিত ঘটনা।
আমরা প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রকৃত খুনিদের ফাঁসির দাবি জানাই।”
সাভার হাইওয়ে থানার ওসি সালেহ আহমেদ বলেন, “গত সপ্তাহে কলমা এলাকা থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফাঁসির দাবিতে আজ স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেছে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাইজুল খান জানান, গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে ৩০ অক্টোবর বিকেলে সাভার সদর ইউনিয়নের কলমা উত্তরপাড়া এলাকা থেকে ফজলে রাব্বির হাত-পা বাঁধা ও বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এসআর
মন্তব্য করুন: