ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলস্টেশনে হামলা করেছে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা। ট্রেন বিলম্ব করায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় তারা স্টেশন কর্মকর্তাদের আটকে রাখে বলে জানা গেছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গফরগাঁও স্টেশন মাস্টার মো. সেলিম আল হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী যাত্রীবাহী কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে সকাল ১০টা থেকে বালিপাড়া আউলিয়ানগর স্টেশনে ট্রেনটি আটকে রেখে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় সকাল সোয়া ১০টা থেকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস গফরগাঁও স্টেশনে, বেলা ১১টা থেকে মশাখালি স্টেশনে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে তারাকান্দিগামী আন্তঃনগর অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস কাওরাঈদ স্টেশনে, আউলিয়ানগর স্টেশনে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ছাড়াও ঢাকাগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং ফাতেমানগর স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেস আটকে থাকে।
এতে গফরগাঁও-ময়মনসিংহ রেলপথে সাড়ে চার ঘণ্টা ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
এদিকে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে আটকে থাকা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা দুপুর ১টা থেকে বিক্ষোভ করতে থাকে।
একপর্যায়ে শতাধিক ট্রেন যাত্রী গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে হামলা এবং স্টেশন মাস্টারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে গফরগাঁও অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তা মেজর শরীফের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর আন্তঃনগর তিস্তা ট্রেনটি গফরগাঁও থেকে ছেড়ে যায় এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্টেশন মাস্টার মো. সেলিম আল হারুন বলেন, বিক্ষুদ্ধ যাত্রীরা স্টেশনে হামলা করে স্টাফদের অবরুদ্ধ করে রাখে। একপর্যায়ে যাত্রীরা স্টেশনে আগুন দিতে চেয়েছিল।
পরে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করে। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: