জুলাই জাতীয় সনদে বিএনপির স্বাক্ষরিত পাতা পরিবর্তন করে অন্য পাতা যুক্ত করে ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের খোলাগ্রামে জন্মান্ধ গফুর মল্লিককে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, “জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষর করা যে চূড়ান্ত কাগজ কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানে বিএনপির স্বাক্ষরিত পাতা নেই। পরিবর্তে অন্য একটি পাতা সংযুক্ত করা হয়েছে—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূস সাহেব একজন সম্মানিত ব্যক্তি, গুণিজন। তার নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে বিএনপিসহ আন্দোলনরত সব দল সমর্থন দিয়েছে। তার গঠন করা বিভিন্ন কমিশনের ভেতর থেকে এমন প্রতারণামূলক কাজ হবে—এটা কেউ কল্পনাও করেনি।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “শেখ হাসিনার সময়ের তুলনায় এখন মানুষ কিছুটা স্বাধীনতা অনুভব করছে। তবে সামগ্রিক স্বাধীনতা তখনই নিশ্চিত হবে, যখন আগামি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে—কোনো ধরনের ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ ছাড়া।”
তিনি আরও যোগ করেন, “দেশ এখন এক ভিন্ন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অতীতে আমরা ফ্যাসিবাদী শাসন দেখেছি—গুম-খুনের সময়, বিরোধী কণ্ঠ রুদ্ধ করার সময়। মানুষ তখন ভয় ও আতঙ্কে ছিল, যা ছিল শেখ হাসিনার আমলে, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের শাসনামলে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর নেতারা, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জন্মান্ধ গফুর মল্লিকের পাশে তারেক রহমান
রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের খোলাগ্রামের জন্মান্ধ গফুর মল্লিক (৭৮) জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। চোখে আলো না থাকলেও প্রতিদিন ট্রেনে চড়ে নাড়ু ও বাদাম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি।
এই সংগ্রামী মানুষটির গল্প ছুঁয়ে গেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হৃদয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ‘জীবনের শেষ প্রান্তে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অন্ধ গফুর’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি তার নজরে আসে।
ঘটনাটি জানার পর তারেক রহমান ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনকে গফুর মল্লিকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং তার পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: