[email protected] শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
৩ কার্তিক ১৪৩২

সিইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

ধসে পড়ল অষ্টম তলার ছাদ, আগুন নিয়ন্ত্রণে যুক্ত রোবট ইউনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৫৫ এএম

সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড)-এর দুটি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

টানা আট ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেডজিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত দমকল বাহিনীর তীব্র প্রচেষ্টার পরও আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের ২৩টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সহায়তার জন্য অতিরিক্ত দুটি প্লাটুন বিজিবি সদস্য ঘটনাস্থলে যোগ দেয়। এ ছাড়া উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে একটি রোবট ইউনিট, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাইপের মাধ্যমে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভাতে সহায়তা করছে।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, “আগুনের তীব্রতা ও তাপমাত্রা এত বেশি যে সরাসরি ভবনের কাছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই দূর থেকে পানি ছিটানো হচ্ছে এবং রোবট ইউনিট দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।”

অগ্নিকাণ্ডে ভবনের অষ্টম তলার ছাদ ধসে পড়েছে, এবং ভেতরে মাঝে মাঝে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে, যা আগুন নেভানোকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

প্রচণ্ড তাপে পাশের একটি তিনতলা ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের অন্যান্য কারখানার ভবন অতিরিক্ত গরম হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে পানি ছিটিয়ে সেগুলো ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছে।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, “বন্দর, আগ্রাবাদ, ইপিজেড, কালুরঘাট ও চন্দনপুরা স্টেশনের ২৩টি ইউনিট কাজ করছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আপাতত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।”

সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুস সোবহান জানান, “আগুন মূলত ভবনের সপ্তম তলায় লাগে, যা গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেখানে প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করতেন, তবে সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর