[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
১৭ আশ্বিন ১৪৩২

কক্সবাজার সৈকতে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২৫ ৬:১৭ পিএম

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব।

চারদিনব্যাপী আনুষ্ঠানিকতা শেষে পঞ্চম দিনে দেবী দুর্গার বিদায় ঘটে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বাদ্য-বাজনা ও নানা আয়োজনে।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে লাবণী পয়েন্টে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসনের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা এবং সাধারণ মানুষের আন্তরিকতায় এ বছর উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গা হাতি বাহনে আগমন করেছেন—যা সমৃদ্ধি ও শান্তির প্রতীক হলেও জলবিপদের আশঙ্কাও বয়ে আনে। বিদায়ের সময় দেবী দোলায় গমন করেছেন, যা রোগ-শোক থেকে মুক্তি ও কল্যাণের প্রতীক।

অনুষ্ঠানে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাশের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, কক্সবাজার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির তীর্থভূমি। প্রতিমা বিসর্জনের দিন সৈকতের বিশাল বালিয়াড়ি সব ধর্মের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে—এটাই সম্প্রীতি ও উৎসবের আসল সৌন্দর্য।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান।

উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন শাহীন, বিএনপির সাবেক এমপি লুৎফর রহমান কাজল, সাবেক এমপি আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির আবদুল্লাহ আল ফারুক, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল প্রমুখ।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ জানায়, এ বছর কক্সবাজার জেলার ৯টি উপজেলায় ৩১৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১৫১টি প্রতিমা পূজা ও ১৬৬টি ঘটপূজা ছিল। পূজা উপলক্ষে শহর ও গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করেছে।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের জেলা নেতা দোলন ধর জানান, এবার দ্বিগুণ উৎসাহ-উদ্দীপনায় পূজা উদযাপন হয়েছে। র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর এহতেশামুল হক বলেন, প্রতিটি মণ্ডপে কঠোর নজরদারি থাকায় বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

শেষ পর্যন্ত উত্তাল সাগরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে কক্সবাজারে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর