মারমা শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে দুই দিনের সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর ও সহিংসতার পর খাগড়াছড়িতে এখনও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এই ধারা বলবৎ রয়েছে। সকালে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে।
জেলা সদরে সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকেই চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিরাপত্তা বাহিনী। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে, তবে নতুন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার দিনব্যাপী সড়ক অবরোধের কারণে সাজেক থেকে ফেরার পথে আটকে পড়া দুই হাজারের বেশি পর্যটক রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছান। এরপর রাত ১২টার মধ্যে তারা নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।
অবরোধ চলাকালে মহাজনপাড়া ও সদর উপজেলা পরিষদ এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২৩ জন আহত হন। খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মো. ছাবের জানান, আহতদের মধ্যে ২১ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন, দুজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, শনিবার দুপুরের পর উপজেলা ইউএনও অফিসের কাছে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে উত্তেজিত দুপক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন করে যাতে সহিংসতা না ঘটে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: