বগুড়ার শিবগঞ্জে কুয়েতপ্রবাসীর বাড়িতে লুটপাট শেষে তার স্ত্রী ও কলেজপড়ুয়া ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাদুল্যাপুর বটতলা গ্রামে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতরা হলেন—রানী বেগম (৪০) এবং তার ছেলে ইমরান হোসেন (১৮)। ইমরান বগুড়ার নিশিন্দারা ফকির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা কুয়েতপ্রবাসী ইদ্রিস আলীর স্ত্রী ও সন্তান।
মঙ্গলবার সকালে কাজ করতে আসা এক রাজমিস্ত্রি ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। পরে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর মা-ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান, শিবগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর আবদুস শুকুরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রমাণ সংগ্রহের জন্য সিরাজগঞ্জ থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন টিমকে ডাকা হয়। নিহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান সাংবাদিকদের জানান, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে—পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিচিতরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যার পর তারা মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে। ঘাতকদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।”
স্বজনদের অভিযোগ, ঘাতকরা ইমরানের মোটরসাইকেল, নগদ টাকা ও কয়েক ভরি সোনা নিয়ে গেছে। লুটপাটে বাধা দেওয়ায় মা ও ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এ বাড়িতে হাসান নামে এক পালিত যুবক থাকতেন, ঘটনার পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম ক্ষোভ, হতাশা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: