রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশদাতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড় ঠাকুরকান্দি গ্রামের মাওলানা বাহাউদ্দীনের ছেলে মো. আ. লতিফ (৩৫) এবং গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়া এলাকার বিল্লাল মন্ডলের ছেলে অভি মন্ডল রঞ্জু (২৯)। রঞ্জু স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামতির দায়িত্ব পালন করতেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, নুরাল পাগলার আস্তানায় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবার করা মামলায় লতিফ হুজুর ও রঞ্জুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভোরে মানিকগঞ্জ থেকে গোয়েন্দা পুলিশ লতিফ হুজুরকে আটক করে। তদন্তে ও পূর্বে গ্রেপ্তার আসামি অপু কাজীর জবানবন্দিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, নুরাল পাগলার মরদেহ উত্তোলনের সরাসরি নির্দেশদাতা ছিলেন তিনিই। এছাড়া ভিডিও ফুটেজেও তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরাল পাগলার আস্তানায় বিক্ষুব্ধ জনতা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। এসময় নুরাল পাগলার ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন রাসেল মোল্লা নামে এক যুবক। আহত হন শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে পুলিশের ওপরও হামলা চালানো হয়; এতে ১০–১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরে বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়। ওই রাতেই পুলিশের সরকারি কাজে বাধা, হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: