লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে একটি যাত্রীবাহী বাস খালে পড়ে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহতসহ ১৪ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে রহমতখালী খালে “আনন্দ পরিবহন” নামের বাসটি পড়ে যায়।
নিহতরা হলেন—সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন (৫৭), একই গ্রামের মোরশেদ আলম (৪০) এবং নওগাঁর বাসিন্দা হুমায়ুন কবির। নিহত হুমায়ুন স্থানীয় লতিফপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন এবং একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পরও ঘটনাস্থলে ডুবুরি দল পৌঁছায়নি। পানির তলদেশে আর কেউ আটকা পড়েছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুরগামী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, “অচেতন অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনায় নিহত দুইজনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ আগস্ট একই খালে, ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে একটি মাইক্রোবাস ডুবে গিয়ে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল।
এসআর
মন্তব্য করুন: