মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদ থেকে আবারও বাংলাদেশি জেলেদের অপহরণ করেছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৭ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যায় তারা।
ট্রলারমালিক ও স্থানীয় জেলেদের দাবি, শুধু গত তিন দিনেই আরাকান আর্মির হাতে ৩৩ জন জেলে অপহৃত হয়েছেন। চলতি আগস্টের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত (২০ দিনে) ছয়টি ট্রলার ও নৌকাসহ ৪০ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে তারা। এর মধ্যে কাউকেই এখনও ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।
ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, অপহৃত ট্রলারটির মালিক টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা আবদুল মোনাফের ছেলে উমর ছিদ্দিক। ট্রলারে মোট সাত মাঝিমাল্লা ছিলেন।
তিনি আরও জানান, ওই ট্রলারের মাঝি এবাদুল্লাহ মোবাইল ফোনে জানান যে সাগরে মাছ ধরা শেষে ফেরার পথে আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে এসে তাদের ধাওয়া করে। পরে অস্ত্রের মুখে ট্রলারসহ জেলেদের আটক করে মিয়ানমারের ফাতংজা খালের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার ও টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন,
“কয়েক দিন ধরে আরাকান আর্মি সাগর থেকে মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে বাংলাদেশি ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গত তিন দিনেই চারটি ট্রলারসহ ৩৩ জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি মোট ২৪৪ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি ট্রলার-নৌকা ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: