সিলেটের জাফলং ও সাদা পাথর এলাকায় পাথর লুটপাট বন্ধ ও চুরি হওয়া পাথর পুনঃস্থাপনে জেলা প্রশাসন ৫ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো—
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে সাদা পাথরসহ সিলেটের বিভিন্ন পাথর কোয়ারি হুমকির মুখে পড়ে।
গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এ দাবির আড়ালে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ‘পাথর খেকোচক্র’ প্রকাশ্যে ও গোপনে সাদা পাথর লুট করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “চার বছর পরিবেশকর্মী হিসেবে সিলেটে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখতে পেরেছি, কিন্তু উপদেষ্টা হয়েও পারলাম না।”
এ ঘটনার পর সিলেট প্রশাসন নড়েচড়ে বসে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। বুধবার দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফী মোহাম্মদ নাজমূস সাদাতের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি তদন্তদল সাদা পাথর এলাকা পরিদর্শন করে। তদন্তে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
দুদক জানায়, স্থানীয় প্রশাসনের দায় সবচেয়ে বেশি, এবং পর্যটন খাতের ক্ষতির সঙ্গে তাদের যোগসাজশ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা অভিযোগ করে আসছেন, প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে এই লুটপাট অব্যাহত রয়েছে, যা শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, সিলেটের পর্যটন শিল্পকেও হুমকির মুখে ফেলেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: