গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি আটজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।
এর মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) গাজীপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনার জানান, বাদশা নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে গোলাপি নামে এক নারীর ঝগড়ার দৃশ্য তুহিন মোবাইলে ধারণ করলে আসামিরা তা দেখে ফেলে। ভিডিও মুছে না ফেলায় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।
তিনি বলেন, “আসামিরা অপরাধ স্বীকার না করলেও প্রমাণই তাদের দোষ প্রমাণ করবে।” সাংবাদিক কমিউনিটির নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
একইসঙ্গে পুলিশ সদস্যের স্বল্পতা ও কারখানা বন্ধের কারণে অপরাধ দমনে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
এদিকে, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন স্বাধীন নামে এক আসামি।
র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কে এম এ মামুন খান চিশতী জানান, তথ্য-প্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে স্বাধীনকে মহানগরীর শিববাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, বাদশাকে থাপ্পড় মারার ঘটনার পর স্বাধীনসহ অন্যরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এসময় সাংবাদিক তুহিন ভিডিও ধারণ করলে তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: