গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে নিহত চারজনের ঘটনায় চারটি পৃথক হত্যা মামলা হয়েছে।
এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ৬ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—উদয়ন রোডের দীপ্ত সাহা (২৫), টুঙ্গিপাড়ার সোহেল রানা মোল্লা (৩৫), কোটালীপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের রমজান কাজী (১৮) এবং ভেড়ার বাজার ব্যাপারীপাড়ার ইমন তালুকদার (১৮)।
এছাড়া, থানাপাড়া এলাকার রিকশাচালক রমজান মুন্সী (৩৫) বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলেও তার মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজন পুলিশ কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
প্রতিটি মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মী ও দুষ্কৃতকারীরা অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা চালায়। রমজান কাজীর মামলার বর্ণনায় বলা হয়, গত বুধবার দুপুরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুরে যাওয়ার পথে এসকে সালেহিয়া মাদ্রাসা এলাকায় গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের বাধা দিলে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে রমজান কাজী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
দীপ্ত সাহা, সোহেল রানা ও ইমন তালুকদারের মৃত্যুর ঘটনাতেও একই ধরনের বিবরণ উঠে এসেছে এজাহারে। এসব মামলায় একেকটি এজাহারে ১ হাজার ৫০০ জন করে, মোট ৬ হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাকি রমজান মুন্সীর মৃত্যুর ঘটনায়ও মামলা হবে। যদিও দীপ্ত সাহার মরদেহ দাহ করা হওয়ায় তার ময়নাতদন্ত নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অন্যদের ময়নাতদন্ত এখনও হয়নি, তবে বিলম্বে হলেও তা করা হবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রসঙ্গত, মাসব্যাপী দেশব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গত বুধবার গোপালগঞ্জে যান। এর আগে মঙ্গলবার রাতে দলটির কয়েকজন নেতা একে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ ঘোষণা করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: