ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ অংশ বর্তমানে ভয়াবহ খানাখন্দে পরিণত হয়েছে, যা যান চলাচলের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সাম্প্রতিক বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কাঁচপুর সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে মেঘনা সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়ক এখন যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে চালক ও যাত্রীদের জন্য।
কাঁচপুর সেতুর ঢালু থেকে শুরু করে চেঙ্গাইন, মদনপুর, কেওঢালা, লাঙ্গলবন্দ, সোনাখালী, দড়িকান্দি, টিপুর্দী, হাবিবপুর, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এবং মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। দ্রুতগামী যানবাহনের জন্য এসব গর্ত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
পরিবহন চালক কবির মিয়া জানান, “রাতে এই গর্তগুলো স্পষ্ট দেখা যায় না। ফলে হঠাৎ ব্রেক করলে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। এছাড়া গভীর রাতে ছিনতাইয়েরও ভয় রয়েছে। এই পথটি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের হটস্পট হিসেবে পরিচিত।”
তিনি আরও বলেন, “বছরজুড়েই এখানে জোড়াতালি দিয়ে কাজ হয়। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই কার্পেটিং উঠে যায়। স্থায়ী সমাধান ছাড়া এ সমস্যার অবসান হবে না।”
প্রাইভেটকার চালক মোক্তার হোসেন বলেন, “বৃষ্টির কারণে গর্তের সংখ্যা এবং গভীরতা দুই-ই বেড়েছে। গাড়ির চাকা একবার গর্তে পড়লে গাড়ি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।”
শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী তারানা শারমিন বলেন, “দিনে গর্ত দেখা গেলেও রাতে চলাচল করতে ভয় লাগে। মহাসড়কে খানাখন্দের কারণে প্রতি মুহূর্তে দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়ে চলতে হয়।”
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, “টানা বৃষ্টির কারণে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে এবং ইতোমধ্যে মেরামতকাজ শুরু হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পুরোপুরি সংস্কার হয়ে যাবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এই অংশে দ্রুত ও টেকসই সংস্কার না হলে যাত্রী নিরাপত্তা ও পরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জোড়াতালির সংস্কারের বদলে দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকর সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: