সিরাজগঞ্জে টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার হার্ডপয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর মেঘাই ঘাটে ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে থাকলেও প্রবল স্রোতে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। হার্ডপয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৭২ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুরে ১৯৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভাঙনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নের ভেটুয়া গ্রাম ও শাহজাদপুর উপজেলার ধীতপুর এলাকা। দুই উপজেলার অন্তত ১৫০টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কাজিপুরের ফুলজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরগিরিশ নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ও ভেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
রিকশাচালক মকবুল হোসেন বলেন, “বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন কাজ করতে পারিনি। আজ বৃষ্টি না থাকায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। স্বাভাবিক দিনে ৬০০-৭০০ টাকা আয় হয়।”
সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, “নদীতে পানির প্রবল স্রোতের কারণে তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাটপিয়ারী ও বাহুকা এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: