[email protected] শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২

দীঘিনালায় পাহাড়ি ঢলে শতাধিক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে, দীঘিনালা-লংগদু সড়কে যান চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২৫ ৯:২০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

এতে উপজেলার কবাখালি ও মেরুং ইউনিয়নের বহু ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় শতাধিক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে বাধ্য হয়েছেন।

স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে জানা গেছে, দুই ইউনিয়নে ইতোমধ্যে একাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। কবাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তত ২০টি পরিবার অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন কবাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা। তিনি বলেন,

“পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ নিচু এলাকাগুলো তলিয়ে গেছে। তবে বৃষ্টি বন্ধ হলে পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

এদিকে মেরুং ইউনিয়নের বড় মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দীঘিনালা-লংগদু সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষ নৌকায় চলাচল করছেন। বিশেষ করে ছোট মেরুং বাজার, চিটাগাংপাড়া ও আশপাশের গ্রামগুলোতে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।

প্রশাসনের তৎপরতা

দীঘিনালা উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অখিল শিকারী জানান,

“দুপুরের পর হঠাৎ মাইনি নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বড় মেরুং স্টিল ব্রিজ তলিয়ে যায়। ফলে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্গতদের জন্য খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পাঁচ শতাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রশাসন ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, বৃষ্টি না থামা পর্যন্ত পানির স্তর আরও বাড়তে পারে। এরই মধ্যে কৃষিজমিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদরের পরিস্থিতি

এদিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় দুপুরের পর বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। ফলে চেঙ্গি নদীর পানি নামতে শুরু করেছে। তবে আকাশ এখনও মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে, যে কারণে বৃষ্টিপাত আবারও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর