কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ২ লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণগ্রামের সৌদি প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হলেন নিহতের ভাসুরের স্ত্রী নুরজাহান বেগম। তিনি ভাড়াটে খুনি আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় চুক্তি করেন এবং তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুন সকালে একটি নির্জন বাগানে ফেরদৌসী বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহটি বস্তায় ভরে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রাখা হয়। নিখোঁজের পরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয় এবং খোঁজাখুঁজি চলতে থাকে।
একপর্যায়ে ১ জুলাই সকাল ৮টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে এবং প্রথমে নুরজাহান বেগমকে গ্রেপ্তার করে। তার জবানবন্দির ভিত্তিতে ভাড়াটে তিন খুনিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে নিহত ফেরদৌসী বেগমের কানের দুল ও গলার চেইন উদ্ধার করা হয়েছে। ২ জুলাই তাদের আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তিনজনকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: