বর্ষা মৌসুমে জমে থাকা পানি ও অনিয়ন্ত্রিত মশার বিস্তারের কারণে দেশে ডেঙ্গু এখন নিয়মিত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, জুনের তুলনায় জুলাইয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সঠিক ও সমন্বিত পদক্ষেপ না নিলে মৃত্যুও বাড়তে পারে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন গত ৪৩ দিন অবরুদ্ধ থাকায় মশকনিধন কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। চলতি বছর ডিএসসিসির এলাকাতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, বৃষ্টির কারণে মশার প্রজনন বাড়ছে, যা ডেঙ্গুর বিস্তারকে ত্বরান্বিত করছে। রাজধানীর দুই সিটির ১৩টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি, যা অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত।
মাস | শনাক্ত রোগী | মৃত্যু |
---|---|---|
জানুয়ারি | ১,১৬১ জন | ১০ জন |
ফেব্রুয়ারি | ৩৭৪ জন | ৩ জন |
মার্চ | ৩৩৬ জন | ০ জন |
এপ্রিল | ৭০১ জন | ৭ জন |
মে | ১,৭৭৩ জন | ৩ জন |
জুন (২৭ জুন পর্যন্ত) | ৪,৮৭৭ জন | ১৭ জন |
গতকাল দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৫৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭ জন, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৯,২২২ জন আক্রান্ত এবং ৪০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫,৪২০ জন এবং নারী ৩,৮০২ জন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সব সংস্থাকে দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। তারা মনে করছেন, অবহেলা চলতে থাকলে এবারের পরিস্থিতি গত বছরের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে।
এসআর
মন্তব্য করুন: