[email protected] শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

খোলা ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৫ ১১:৫৬ পিএম

সংগৃহীত ছবি

আর মাত্র দুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা।

 ঈদের আনন্দ প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে রাজধানী ছেড়ে ঘরমুখো মানুষের স্রোত নেমেছে। তবে গণপরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া ও দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে অনেকে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই খোলা ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও বাসের ছাদে চড়ে বাড়ি ফিরছেন।

বুধবার (৪ জুন) ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্টেশন, রাবনা বাইপাস ও আশেকপুর বাইপাস এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে—অনেক যাত্রী পরিবহনের জন্য অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। সাধারণ যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ, লোকাল বাস ও লেগুনায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। তবে এবার মহাসড়কে বাসের তুলনায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি।

যাত্রীদের অনেকেই ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার ব্যবহার করছেন। কিন্তু গণপরিবহনের অভাব ও ভাড়া বৃদ্ধির কারণে অনেকে জীবন ঝুঁকি নিয়েই বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থায় বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন।

মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের প্রায় ৬০০ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন।

মিরপুর থেকে আসা যাত্রী সুমন খান ও আবিদ খান জানান, “মিরপুর থেকে চন্দ্রা পৌঁছাতে ৪ ঘণ্টা লেগেছে। চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত ছিল ভয়াবহ যানজট। তবে মির্জাপুর থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত যাত্রা ছিল স্বাভাবিক।”

অন্যদিকে, যাত্রী জসীমউদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, “আগে চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল যেতে ৬০-৭০ টাকা লাগতো। আজ ২০০ টাকা ভাড়া নিয়েছে বাস। তাও অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর গাড়ি পেয়েছি।”

টাঙ্গাইল রাবনা বাইপাসে অপেক্ষারত যাত্রী কামরুল হাসান বলেন, “প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি, কোনো গাড়ি থামছে না। বগুড়ায় যাব, কিন্তু কেউ ৪০০ টাকার নিচে যেতে রাজি না—যেখানে আগে ২০০ টাকায় যেতাম।”

সিরাজগঞ্জের আবুল কালাম আজাদ ও বগুড়ার আব্দুল লতিফ জানান, বাস না পেয়ে তারা ট্রাকে করেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তাদের কথায়, “বাসে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে, তাই ট্রাকই একমাত্র ভরসা। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারলেই খুশি।”

জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, “যাত্রাপথে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ভোগান্তির খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগের চেয়ে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেকটাই বেড়েছে।”

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর