সিলেটে টানা ভারী বৃষ্টিপাতে নগরজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা।
শনিবার (৩১ মে) দুপুর ১টার পর থেকে শুরু হওয়া কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে তলিয়ে যায়, ফলে জনজীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাজলশাহ, মেজরটিলা, চৌহাট্টা, দরগাহ মহল্লা, পাঠানটুলা, হাওয়াপাড়া, লালাদিঘীর পার, ঘাসিটুলা, বন্দরবাজার, টিলাগড়, লামাবাজার ও সুবিদবাজার—এসব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও আবাসিক এলাকায় পানি জমে গেছে। ফলে জনসাধারণ, বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েন।
দরগাহ মহল্লার বাসিন্দা আজমল আলী বলেন,
“বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। আজকের বৃষ্টিতে আমার বাড়িতেও পানি ঢুকেছে। হঠাৎ করে এমন পরিস্থিতিতে খুবই বিপাকে পড়েছি।”
হাওয়াপাড়া এলাকার আফসানা রহমান বলেন,
“প্রতিবারই এমন জলাবদ্ধতা হয়। এটা তো বন্যা না, তবু প্রতি বর্ষায় একই দুর্ভোগ। সিটি করপোরেশন ড্রেন পরিষ্কারের আশ্বাস দেয়, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই।”
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন,
“অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় পানি জমেছে। জরুরিভিত্তিতে ড্রেন পরিষ্কার ও পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।”
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ রুদ্র তালুকদার জানান,
“শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাত্র ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে, এবং বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।”
নগরবাসী দ্রুত ও টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বলেন, একের পর এক জলাবদ্ধতায় সিলেট নগরীর পরিবেশ, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়ছে। সবার প্রত্যাশা—নগর পরিকল্পনায় কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান আসবে, যাতে প্রতি বর্ষায় এই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এসআর
মন্তব্য করুন: