জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির প্রভাব পড়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে।
গত কয়েকদিন ধরে কর্মকর্তারা শুধুমাত্র দুপুর ৩টার পর থেকে কাজ করায় কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের জট। সোমবার (১৯ মে) কলমবিরতি স্থগিত হলেও বন্দরে কনটেইনার সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৪ হাজার টিইইউস। পাশাপাশি ১৯টি অফডকে আরও ৮৬ হাজার টিইইউস কনটেইনার জমে আছে।
গত ৩০ এপ্রিল যেখানে বন্দরে কনটেইনার ছিল প্রায় ৩৬ হাজার টিইইউস, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজারের বেশি। চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রতিদিন গড়ে সাত হাজার বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট জমা হয়, যা কলমবিরতির কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিনের জমে থাকা ফাইল ও শুল্কায়ন বিলম্বে খালাস কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাদেশ নন-প্যাকার্স ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা মাহবুব রানা জানান, বিকেল ৩টার পর কাজ শুরু হলেও প্রতিদিনের ফাইল শেষ করা যাচ্ছে না, যার ফলে সময়মতো পণ্য খালাস সম্ভব হচ্ছে না।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কাস্টমস ও কিছু অফডকে জটিলতার কারণে খালাসে ধীরগতি তৈরি হয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে তারা।
এসআর
মন্তব্য করুন: