সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় সরকারের প্রতি জবাবদিহির দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, “আবদুল হামিদ পালিয়ে গেছেন, না তাকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে—এই প্রশ্নের উত্তর জাতি জানতে চায়। এ জন্য বর্তমান সরকার তথা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ড. আসিফ নজরুলকে সরাসরি জবাবদিহি করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বার আওলিয়ার মাজারে ওরশ শরিফ ও মেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া ব্যক্তি ছিলেন আবদুল হামিদ। তিনি রাষ্ট্রপতির পদ ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, এমন অভিযোগ রয়েছে বহু স্থানে। অথচ এই ব্যক্তি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ৯ মাস পর নির্বিঘ্নে দেশ ত্যাগ করলেন—এটা এই সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার উদাহরণ।”
করিডোর ইস্যুতে সতর্কতা
পাহাড়ি অঞ্চলসহ স্পর্শকাতর এলাকায় করিডোর দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে সারজিস বলেন, “এ ধরনের সিদ্ধান্তের আগে জনগণের মতামত নেওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি ছাড়া করিডোর ইস্যুতে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া চলবে না।”
তিনি আরও বলেন, “ইতিহাসে আমরা দেখেছি, করিডোরের নামে অনেক সময় বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করেছে। ইউএনের নামেও বহু রাষ্ট্র এসব পথ ব্যবহার করেছে নিজেদের স্বার্থে। বাংলাদেশে আমরা এমন অনুপ্রবেশ আর মেনে নেব না।”
সংস্কার ও বিচার দাবি
সারজিস আলম জানান, “পূর্ণাঙ্গ সংস্কার এক থেকে দেড় বছরে সম্ভব না হলেও মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। সরকার যদি এসব মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন করে এবং মনে করে ডিসেম্বরে বা আগামী জুনে নির্বাচন সম্ভব—তবে এনসিপির পক্ষ থেকে আপত্তি থাকবে না।”
এসময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত ‘জুলাই গণহত্যা’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় বিচার কার্যক্রম দ্রুত শুরুর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও উপস্থিত ছিলেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: