একই দিনে একদিকে সন্তানের আগমন, আর অন্যদিকে বাবার বিদায়—জীবনের এই চরম বিপরীত দুই অনুভূতির মুখোমুখি হয়েছে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দশপাড়া এলাকার মো. মোর্শেদ মিয়ার পরিবার।
সেই দিনেই তার ছেলে মো. শিপনের মৃত্যু হয়, আর জন্ম নেয় একটি নতুন প্রাণ।
পরিবারটির আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পারায় মরদেহটি হাসপাতালেই আটকে ছিল। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংগঠন রিসালাহ ফাউন্ডেশন-এর।
ফাউন্ডেশনের প্রধান এম মাজহারুল ইসলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে সাহায্যের আবেদন জানান। অল্প সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে সহায়তা আসতে থাকে।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট ৳৫২,৪৯০ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে, যা সরাসরি সংশ্লিষ্ট পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সব ট্রানজেকশনের স্ক্রিনশট কমেন্ট বক্সে প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, “যাঁরা সাহায্য করেছেন, তাঁদের প্রতি আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। প্রতিটি টাকাই পরিবারটির কাছে পৌঁছানো হবে, ইনশাআল্লাহ।”
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো, মানবিকতায় মানুষ এক হলে কোনো বিপদই অসহায়কে পরাভূত করতে পারে না। রিসালাহ ফাউন্ডেশনের এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে মানবিক সহানুভূতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
এসআর
মন্তব্য করুন: