ওয়াসার সরবরাহকৃত পানিতে ভয়াবহ ইকোলাই জীবাণু এবং ময়লা-আবর্জনা পাওয়া যাচ্ছে— এমন অভিযোগ তুলে রাজধানীবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’ (এবি পার্টি)।
দলটির অভিযোগ, এই সংকট সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
রোববার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ‘ওয়াসার দূষিত পানি: ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে নগরবাসী’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে কেঁচো, পোকামাকড়, ময়লা এবং দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।” তিনি অভিযোগ করেন, “পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে ২২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান সেই অর্থ পানি শোধনের কাজে ব্যবহার না করে ‘লুটপাটে’ ব্যয় করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতি বছর একই চিত্র, কিন্তু সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। জনগণের মৌলিক অধিকার বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। ওয়াসায় ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ না করলে এই সংকটের সমাধান সম্ভব নয়।”
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি বলেন, “প্রতিবছর গ্রীষ্মের শেষে ও বর্ষার শুরুতে ওয়াসার পানিতে পোকামাকড়, দুর্গন্ধ এবং জীবাণুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। এতে ডায়রিয়া, জন্ডিসসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নগরবাসী।” তিনি বলেন, “২০১৯ সালে একজন আইনজীবীর দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওয়াসার পানিতে মল, মূত্র ও অ্যামোনিয়ার উপস্থিতি বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু সাত বছরেও সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি— যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, এবিএম খালিদ হাসান, শ্যাডো বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান নোমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাসেত মারজান।
এসআর
মন্তব্য করুন: